৮ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ৮ ফেব্রুয়ারি হতে যাওয়া কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে আইনশৃংখলা বাহিনী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রায়কে কেন্দ্র করে যেকোন বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় বিএনপি কর্মীদের জড়ো হতে দেবে না তারা।
এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোকেও আনা হচ্ছে নজরদারির আওতায়।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রায় ১০ বছর এই মামলাটির কার্যক্রম চলছে। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছে আদালত। এরইমধ্যে রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।
খালেদা জিয়া গত ৩০ জানুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের প্রিজন ভ্যান ভাংচুর করে বিএনপির কর্মীরা। পুলিশের হাতে আটক দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলা কয়েকজন নেতাসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন শতাধিক কর্মী। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের সন্ধান করা হচ্ছে।
পুলিশের সুত্র জানিয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কোনোভাবেই বিএনপি নেতাকর্মীদের জমায়েত হতে দেবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগেই নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোকে আনা হবে নজরদারির আওতায়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে কোনো ধরণের বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারেন, সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।
পুলিশের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এখনো নাশকতা সৃষ্টির তেমন কোনো আগাম গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া না গেলেও সতর্ক রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এছাড়া দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরেও যাতে কেউ অরাজকতা করতে পারে, সেজন্য জেলা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।